চরফ্যাসন প্রতিনিধি ॥ চরফ্যাসনের আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়নের মিনাবাজারের গলি পথ দখল করে বাজার উন্নয়ন প্রকল্পের ওপর পাকা ঘর নির্মানের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালী শফিউদ্দিন মাষ্টার গংদের বিরুদ্ধে। এতে পুরো বাজারের ব্যসায়ীদের গলি পথ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ফলে সরকারের লক্ষ টাকার রাজস্ব আয় এবং কয়েশ ব্যবসায়ীর জীবন জীবিকা অনিশ্চিয়তা হয়ে পরেছে। পাশাপাশি ভেস্তে যেতে বসেছে বাজারটিকে ঘিরে সরকারের কয়েক লক্ষটাকার উন্নয়ন কাজ। এতে ব্যবসায়ীদের সাথে জবর দখলকারীদের রক্তক্ষয়ী সংর্ঘষের আসংখ্যা করছেন স্থানীয় সচেতন মহল।
জানাগেছে,১৯৮৫সলে প্রতিষ্টিত আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়নের মিনাবাজারটি। আব্দুল্লাহপুর ও এওয়াজপুর ইউনিয়নের ৫০ হাজার মানুষের ভরসা একটি মাত্র সাপ্তাহিক বাজার। ২০১৩ সালে সরকার প্রায় ২৫লক্ষ টাকা বরাদ্দ দিয়ে একটি টলঘর, গণশৌচাগার, পুকুরের ঘাটলাসহ বাজারের গলিপথে পাকা সড়র নির্মান করেন । স্থানীয় প্রভাবশালী শফিউদ্দিন মাষ্টার গংরা বাজারের গলিপথ ও বাজার উন্নয়ন প্রকল্পের ওপর জোরপুর্বক জবর দখল করে পাকা ঘর নির্মানের কাজ অব্যহত রাখার ফলে ভেস্তে গেছে কয়েক লক্ষ টাকার বাজার উন্নয়নের কাজ। পাশাপাশি প্রতিবছর বাজার ইজারা থেকে বঞ্চিত হবে সরকার। মুখ থুবরে পরেছে বাজারের প্রায় দেড় শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। দুটি ইউনিয়নের একমাত্র বাজারটির গলিপথ জবর দখল হওয়ার ফলে পুর্বের নির্মানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুলোতে যাতায়াতের পথ না থাকায় ক্রেতা শুন্য হয়ে পরেছে বাজারটিতে। দিশেহারা হয়ে পরেছে দেড় শতাধিক বাজারের ব্যবসায়ী। চলতি অর্থবছরে সরকার বাজার উন্নয়ন কাজের জন্য ৫২ লক্ষটাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। কিন্তু বাজারের গলিপথ জবর দখলের কারনে থমকে গেছে বাজার উন্নয়ন কাজটি।
বাজারের ব্যবসায়ী কামরুল মাঝি জানান, ৩৬ বছর আগে জৈনক কাদের সিকদারের কাছ থেকে ১৬ জন ব্যবসায়ী ঘর ভিটে খরিদের পর ঘর নির্মান করে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। এবং অপর ব্যবসায়ীরা জৈনক নুরু মাঝির কাছ থেকে ও ঘর ভিটা খরিদ করে ব্যবসা পরিচালনা করছেন। কিন্তু প্রভাবশালী সফিউদ্দিন মাষ্টার গংরা রাতের আধারে বাজারের উন্নয়ন কাজের গলিপথ জবর দখল করে পাকা ঘর নির্মান কাজ শুরু করেন। এঘটনায় বাজারের ব্যবসায়ীরা চরফ্যাসন থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও কোন প্রতিকার পাননি। ব্যবসায়ী মালেক সিকদার জানান, ১৯৭৫ সনে অনেক ব্যবসায়ীরা জৈনক নুরু মাঝি ও কাদের সিকদারে কাছ থেকে জমি খরিদ করেন। এবং ১৯৮৫ সনে সাপ্তাহিক বাজার প্রতিষ্ঠিত করেন। দুটি ইউনিয়নের একটি মাত্র বাজারের গলিপথ জবর দখল করে পাকা ঘর নির্মানের কারনে ভেস্তে যাচ্ছে ৫২ লক্ষ টাকার বাজার উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ। অপর ব্যবসায়ীদের দোকানের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বন্ধের উপক্রম হয়ে পরেছে প্রায় শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
অভিযুক্ত সফিউদ্দিন মাষ্টার জানান,ওই বাজারে ৫৯৮ নং খতিয়ানে আমাদের রেকর্ডভুক্ত জমি রয়েছে। এজন্য আমারা ঘর নির্মানের কাজ করছি। চরফ্যাসন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) রিপন বিস্বাস জানান,ইজারাভুক্ত কোন বাজারে ব্যবসায়ীদের ক্ষতিসাধন করে জবর দখল করে গলিপথে ঘর নির্মানের বৈধতা নাই। স্থানীয় ইউনিয়ন উপসহকারী ভুমি কর্মকর্তাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।চরফ্যাসন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রুহুল আমিন জানান, বিষয়টি শুনেছি । ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply